1. admin@dailybarishalmukhopatro.com : admin-barishal :
  2. adminaminalamin@gmail.com : বরিশাল মুখপত্র : বরিশাল মুখপত্র
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| শুক্রবার| রাত ২:৩১|
শিরোনামঃ
বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপো যেন দুর্নীতির ফ্যাক্টরি: সিন্ডিকেটের রাজত্বে পিষ্ট প্রশাসন দুইদিন থাকবো,বাঘের মত থাকবো; কারো কাছে নাক খদ দিয়ে আসিনি-রায়হান কাওসার দুর্নীতির আতুরঘর চরমোনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিস; নিয়ম-দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, কর্তৃপক্ষ বলছে ‘শুদ্ধি অভিযান চলবে’ ঘুষ কেলেঙ্কারিতে চরমোনাই ইউনিয়ন ভূমি অফিস: তহশিলদার আমির হোসেন মল্লিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভুক্তভোগীদের ক্ষোভ বাকেরগঞ্জে পুরুষ নির্যাতনের বিচার চাচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ছালাম কীর্তনখোলায় লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ দুর্গাপূজায় বরিশালে র‍্যাবের তিন স্তরের নিরাপত্তা, চলছে সাইবার মনিটরিং নারীর ক্ষমতায়ন ও ঐতিহ্য রক্ষায় বরিশালে আঁকা হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় দেয়ালচিত্র বরিশালে কৃষক হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার বরিশালে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধিদল নিয়ে আদালত ঘুরে দেখলেন প্রধান বিচারপতি

পটুয়াখালীতে ডাক্তার না হয়েও দাঁত ও চোখের চিকিৎসা করেন দুই ভাই

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৪ বার পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পটুয়াখালীর মহিপুর সদরের এশিয়া ডেন্টাল ও চক্ষু সেবা কেন্দ্রে চলছে নিয়মবহির্ভূত চিকিৎসা কার্যক্রম। ডাক্তার না হয়েও নামের আগে লেখেন ডাক্তার। তিন থেকে পাঁচশ টাকা ভিজিট নিয়ে করেছেন প্রতারণা। প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান নিয়ে রোগী ও এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।

সেখানে নিজে চোখের চিকিৎসক না হলেও ভাইয়ের ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসা দেন হারুন। একইভাবে তার ভাই হাকিম কলাপাড়াতে সাজেন দাঁতের চিকিৎসক, মহিপুরে সাজেন চক্ষু চিকিৎসক। এভাবেই দিনের পরে দিন প্রতারণা করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদনান (৪) নামের এক শিশুকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন আদনানের পরিবার। চক্ষু সেবা কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী ডাক্তার আব্দুল হাকিমের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে না পেয়ে সাইনবোর্ড দেওয়া নম্বরে কল দিলে হাকিম কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরে তার ভাই হারুন এসে হাকিম সেজে তার ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসা দেন।

বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ডাক্তার হাকিমকে ছবি দেখিয়ে তার প্যাড ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি চিকিৎসক নই, তবে যা লিখেছি তাতে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।’

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এশিয়া ডেন্টালে এমন অনিয়ম চলছে। রোগীদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে অনেক রোগী সঠিক চিকিৎসার অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এদিকে হাকিমের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজে না থেকে অন্যদের দিয়ে নিজের নাম-ঠিকানা সম্বলিত প্যাডে রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন। মহিপুরে সদরের চক্ষু সেবা কেন্দ্রে সাজেন চোখের ডাক্তার, কলাপাড়া উপজেলাতে সাজেন দাঁতের ডাক্তার। এভাবেই প্রতারণা করে রোগীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এমন অহরহ অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

মহিপুর এলাকার সেরাজপুরের বাসিন্দা মো. শাহ-জাহান কাজী বলেন, এই হারুনতো দাঁতের চিকিৎসাই ভুল করে, সেখানে অন্য চিকিৎসা দেয় কেমনে? সেরাজপুরের হারুন মাঝির সমস্যা এক দাঁতে, তিনি তুলে দিয়েছেন অন্য দাঁত। এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মহিপুরের বাসিন্দা সোহেল হাওলাদার বলেন, আমরা জানি সে দাঁতের চিকিৎসা দেন, তার ভাই চোখের চিকিৎসা দেন৷ তবে সেও তার ভাইয়ের প্রেসক্রিপশনে চোখের চিকিৎসা দেন। এগুলো নিয়ে প্রায়ই রোগীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। কিন্তু সেটা বন্ধ হচ্ছে না, সে দিয়েই যাচ্ছে। তার চোখের বিষয়ে কোনো ধারণা নেই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন অর রশীদ বলেন, আমার ভাইয়ের (আ. হাকিমের) চেম্বারে গিয়ে রোগীর ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে তাকে পাঠাই। তার লেখা ওষুধগুলো তার প্যাডে রোগীকে লিখে দিই। অন্যের প্যাডে বা ফোন কলের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা উচিৎ কিনা সে বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে হাকিমের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় জানার পরই কোনো প্রশ্ন না শুনেই তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। মোবাইল ফোনে কোনো কথা বলবেন না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, একজনের ব্যবস্থাপত্রে অন্য কেউ চিকিৎসা দেওয়ায় সুযোগ নেই। শীঘ্রই বিষয়টি খতিয়ে দেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, একজনের প্যাডে অন্য কেউ প্রেসক্রাইব করার সুযোগ নেই। এটা অপরাধ, খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগে জরুরি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগী ও সচেতন মহল।

নিউজটি ফেসবুকে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2025 dailybarishalmukhopatro.com
EngineerBD-Jowfhowo