বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মাকিন এন্টারপ্রাইজ ও ইশতিয়াক সলিউশন নামের দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিল উঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজা শরীফ।তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাপক তোলপাড় চলছে।
গত বুধবার ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় যে মাকীন এন্টারপ্রাইজের একটি বিল রেজা শরীফ স্বাক্ষর করে তুলে নিয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এটি ছিল ২২ লাখ টাকার একটি বিল। ভাইরাল হওয়া ছবিতে প্রথমে কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সিল দেখা যায়নি, তবে পরে জানা যায় সেখানে মাকীন ট্রেডার্সের সিল দেওয়া ছিল।
অন্যদিকে ইশতিয়াক সলিউশনেরও ৫৩ হাজার ১৯টাকার একটি বিল উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। বিলে দেখা যায় কবি সুফিয়া কামাল হলের রিডিং রুমের থাই পর্টিশন গ্লাসের কাজের বিল তিনি উত্তোলন করে নিয়েছেন।অভিযোগ , এইসব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে ছাত্রদলের বরিশাল শাখার এই সাবেক সভাপতি নিজে ঠিকাদারি করেন।এমএস মাকীন ট্রেডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদীনের নিজের ভাইপোর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মুরশিদ আবেদীনের ভাইপোর নামে থাকলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বে উপ-প্রধান প্রকৌশলী নিজেই।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের একাধিক সূত্র বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে রেজা শরীফ বলেন, “মেসার্স মাকিন ট্রেডার্সের মালিক মাকিন ভাই যুবদলের এক বড় ভাই।ভাই আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, অর্থ দপ্তরে তার একটি চেক আছে।আমি ক্যাম্পাসে থাকলে যেন সেটি রিসিভ করে সন্ধ্যায় তার কাছে পৌঁছে দিই। তিনি অর্থ দপ্তরেও ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেন। সে অনুযায়ী আমি চেকটি রিসিভ করি। সিলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে আমার কাছে সিল ছিল না, তাই স্বাক্ষর করে পরে সিল এনে দিয়েছি।’ ”
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তরের প্রধান আতিকুর রহমান বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি কাউকে পাঠিয়ে চেক দিয়ে দিতে বলে, তবে তারা সিল ও স্বাক্ষর রেখে এবং ফোন করে নিশ্চিত হয়েই চেক হস্তান্তর করেন।
প্রকৌশলী উপ-প্রধান মুরশিদ আবেদিন বলেন, তাদের কাজ শুধুমাত্র বিল তৈরি করে অর্থ দপ্তরে পাঠানো। কে চেক তুলছে, সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়। তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন , মাকিন ট্রেডার্স রেজা শরীফের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নয়।