রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
সদর ইউনিয়নের তেরচর গ্রামের মফদের খন্দকার (৬০) হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যুর পর ওমানপ্রবাসী দুই ছেলে ইব্রাহিম খন্দকার ও হানিফ খন্দকারের নেতৃত্বে স্বজনরা ভাঙচুর চালান।
ইব্রাহিম খন্দকারের ভাষ্য, বাবাকে নিয়ে তারা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান। তখন জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। এক কর্মী জানান, ১০ নম্বর কক্ষে চিকিৎসক আছেন। কিন্তু সেই কক্ষটি ভেতর থেকে আটকানো ছিল। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও ভেতর থেকে সাড়া মেলেনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁর বাবাকে হাসপাতালের বাইরে বিশ্রামাগারে রাখা হয়। এর পর একজন চিকিৎসক এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সময়ক্ষেপণ করেন। রোগীর অবস্থাও তিনি জানাননি। এমনকি বরিশালে নেওয়ার পরমর্শও দেননি। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাঁর বাবাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন ক্ষোভে তাঁর ছোট ভাই হানিফ অক্সিজেনের কিছু সামগ্রী ভাঙচুর করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর ভাষ্য, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। রোগী পৌঁছার আগেই চিকিৎসক হাসপাতাল ফটকে অপেক্ষায় ছিলেন। মৃতের স্বজনরা হাসপাতালের অক্সিজেন কনসেজেটর, পালস অক্সিজেন মিটার ও ইসিজি মেশিন ভাঙচুর করেছে। তাদের হামলায় মিজান নামের এক কর্মচারী আহত হন। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।