বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে কর্মচারীদের শৃঙ্খলা ও সেবার মান উন্নয়নে দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ নিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির ১৯৫ জন সরকারি কর্মচারীর মাঝে নির্ধারিত পোশাক বিতরণ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই শতাধিক কর্মচারী নতুন পোশাক পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
হাসপাতালে বর্তমানে ১৯৫ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে এমএলএসএস (অফিস সহায়ক) ১০৪ জন, সর্দার ১ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৭৪ জন এবং বাবুর্চি ১৬ জন। রোগী ও স্বজনদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল—নির্ধারিত পোশাক না থাকায় কিংবা পুরনো পোশাক ছিঁড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের কর্মচারীদের চেনা যেত না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পরিচালক ডা. মশিউল মুনীর প্রত্যেক কর্মচারীর জন্য নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করেন।
বিতরণকৃত পোশাকের মধ্যে ছিল—
পুরুষ কর্মচারীদের জন্য: ১টি হাফ সাফারি, ১টি ফুল সাফারি, ১ জোড়া জুতা, ২ জোড়া মোজা ও একটি ছাতা।
মহিলা কর্মচারীদের জন্য: ২টি সুতি ও জর্জেট শাড়ি (সায়া, ব্লাউজসহ), ২ জোড়া বাটা জুতা এবং একটি মহিলা ছাতা।
পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. একেএম নজমুল আহসান, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাহামুদ হাসান এবং সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. আবদুল মুনায়েম সাদ উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন,
“রোগী ও স্বজনদের যেন সহজে হাসপাতালের কর্মচারী চিনতে সুবিধা হয় এবং কর্মচারীরা গৌরবের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন—সে লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। সবাই নিয়মিত নির্ধারিত পোশাক ব্যবহার করবেন, এতে শৃঙ্খলা ও সেবার মান আরও উন্নত হবে।”
শেবাচিম হাসপাতালের এই কার্যক্রমকে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছেন।