বরিশালের বাকেরগঞ্জে চল্লিশোর্ধ্ব নারী কৌশলে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে সর্বস্ত্র হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় এবার পুরুষ নির্যাতনের বিচার চাচ্ছেন ওই ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ছালাম আকন।
উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার দুপুরে ওই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ছালাম আকন অভিযোগ করে বলেন -ব্যবসার সুবাধে পার্শ্ববর্তী লেবুখালী এলাকায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তিনি বসবাস করে আসছিলেন। তার দোকানের পাশের ভাড়াটিয়া ছিলেন নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের ৪০ বছর বয়সের নারী রেহেনা বেগম। তিনি (রেহেনা) প্রায়ই ছালাম আকনের মুদি দোকান থেকে বাজার করতেন। ফলে তাদের মধ্যে পরিচয়ের সূত্রধরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
ছালাম আকন অভিযোগ করেন-তার মালিকানাধীন সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি (ছালাম) ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা পেয়েছেন। এ খবর জানতে পেরে কৌশলে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন রেহেনা। একপর্যায়ে বাকেরগঞ্জের ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন।
ছালাম আকন বলেন- দ্বিতীয় বিয়ের পর আমাকে নানা ছলনায় ফেলে রেহেনা তার নামে দুধলমৌ গ্রামে ২৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার জমি ক্রয় করে নিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রেহেনা। সর্বশেষ কৌশলে রেহেনা আমার ব্যাংকে রাখা সব অর্থ আত্মসাত এবং ঘরের আলমিরায় রাখা ৬৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এনিয়ে দাম্পত্য কলহ দেখা দিলে রেহানা আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে উপায়অন্তুর না পেয়ে আমি আমার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে আশ্রয় নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি।
ছালাম আকন বলেন-রেহেনা কর্তৃক আত্মসাত করা আমার টাকা ফেরত পেতে বরিশাল আদালতে আমি একটি মামলা দায়ের করেছি। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছেন। আমি (ছালাম) টাকা ফেরত পাবার পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতনের সঠিক বিচার দাবি করছি।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে রেহেনা বেগম বলেন, ছালামকে আমি আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেছি। বিয়ের পর আমরা দীর্ঘদিন একসাথে বসবাস করেছি। ওই সময় সে (ছালাম) আমাকে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা সে কি করেছে তা আমার জানা নেই।